২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া : পর্বসংখ্যা-১৭, বিজ্ঞান

তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন
-

সুপ্রিয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন’ থেকে একটি নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মাসরুর স্কুল থেকে এসে দেখল তার টবের সব গাছের পাতা নেতিয়ে পড়েছে। সাথে সাথে মাসরুর টবে পানি ঢালল। কিছুক্ষণ পর সে দেখল পাতাগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে।
ক. ব্যাপন কাকে বলে? ১
খ. অভিস্রবণের জন্য অর্ধভেদ্য পর্দা দরকার কেন? ২
গ. মাসরুরের গাছগুলো যেভাবে সতেজ হলো তা বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনায় জড়িত প্রক্রিয়া দু’টি একে অপরকে প্রভাবিত করে- মতামত দাও। ৪
উত্তর : ক. একই তাপমাত্রা ও চাপে কোনো পদার্থের অধিকতর ঘন স্থান হতে কম ঘন স্থানে বিস্তার লাভ করার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।
খ. অভিস্রবণের ক্ষেত্রে দু’টি ভিন্ন ঘনত্ব বিশিষ্ট দ্রবণ প্রয়োজন হয়। এ দুই ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক করতে হয়। অর্ধভেদ্য পর্দার মধ্য দিয়ে শুধু দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব্য অণু চলাচল করতে পারে না। এর ফলেই দ্রাবক অণু অল্প ঘনত্বের দ্রবণ হতে ঘন দ্রবণের দিকে ব্যাপৃত হয়। অর্ধভেদ্য পর্দা না থাকলে ঘন দ্রবণের দ্রাব্য অণু হালকা ঘনত্বের দ্রবণে চলে আসত।
গ.পরবর্তীতে গাছগুলো আবার সতেজতা ফিরে পায়। মাসরুর স্কুল থেকে এসে টবে পানি ঢালল। উদ্ভিদ মূলরোম দ্বারা অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে। মাটিতে খনিজ লবণ থাকলেও তা পানি ছাড়া শোষণ করা সম্ভব নয়। গাছের পরিবহন টিস্যু জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণের পরিবহন ঘটে। জাইলেমের মাধ্যমে পানি পাতায় যায় এবং ফ্লোয়েম পাতায় উৎপন্ন তরল খাদ্য সারা দেহে ছড়িয়ে দেয়। এতে গাছগুলো সতেজ হয়ে ওঠে। শোষিত পানির কিছু অংশ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পাওয়াতে আর ঘাটতি তৈরি হয়নি। এভাবে গাছগুলো সতেজতা ফিরে পায়।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনায় জড়িত প্রক্রিয়া দু’টি হলো প্রস্বেদন ও অভিস্রবণ। উদ্ভিদ জীবনে এ দুটো ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনিবার্য প্রক্রিয়া। উদ্ভিদ মূলরোমের সাহায্যে মাটির সূক্ষ্মকণার ফাঁকে লেগে থাকা পানি অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় শোষণ করে।
আবার জৈবনিক কার্যাবলি শেষে অতিরিক্ত পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়। প্রস্বেদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ যত বেশি পানি বের করে দেবে, অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় তত বেশি পানি সে গ্রহণ করবে। এ কারণে প্রস্বেদন বাড়লে উদ্ভিদ দেহে অভিস্রবণও বাড়ে। একইভাবে, পানির অভাবে অভিস্রবণ কমে গেলে প্রস্বেদন প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। এভাবেই উদ্দীপকের ঘটনায় জড়িত প্রক্রিয়া দু’টি একে অপরকে প্রভাবিত করে।


আরো সংবাদ



premium cement
কুড়িগ্রামে সূর্য উঁকি দিলেও মিলছে না উষ্ণতা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পিকআপ-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত বাশারকে আশ্রয় দিলেও সব সম্পদ জব্দ করেছে রাশিয়া মণিপুরে হু হু করে ঢুকছে মিয়ানমারের পাচার হওয়া অস্ত্র! রিজওয়ানের নেতৃত্বে ইতিহাস পাকিস্তানের, ঘরের মাঠে ‘প্রথমবার’ চুনকাম দ. আফ্রিকা আজ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাত : টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ নিজের বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছিলেন বাইডেন! আড়ি পাতায় যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত পেগাসাস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচ দুবাইয়ে কুয়েত সফরে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

সকল